যশোরের পালবাড়ি এলাকায় রুপসা-গড়াই ও মদিনা বাসকাউন্টারের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে এক নারীকে শ্লীলতাহানী, মারপিট, টাকা ও গহনা ছিনতায়ের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম। গত ৩ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে তারমধ্যে রূপসা গড়াই কাউন্টার ও মদিনা বাস কাউন্টারের দুইজন শ্রমিক রয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন পালবাড়ী ঘোপপাড়ার অমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত , পালবাড়ী নওদাগা সড়কের সবুর মন্ডলের ছেলে কাজল, হবি মন্ডলের ছেলে হান্না, কাজীপাড়া কঠালতলা এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে রিপন, পালবাড়ি রূপসা-গড়াই কাউন্টারের শ্রমিক আমিনও মদিনা বাস কাউন্টারের শ্রমিক হুমায়ন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১২ আগস্ট বেলা ১২ টায় শহরের পালবাড়ী মোড়ে রুপসা-গড়াই বাস কাউন্টারের সামনে দাড়িয়ে তিনি চুড়ামনকাটি যাবার জন্য ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় মামলার আসামিরা হঠাৎ তাকে জাপটে ধরে টানতে টানতে রুপসা-গড়াই বাস কাউন্টারের পেছনে নিয়া যায়। এ সময় তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে লাঠি, লোহার রড, চাকু ও দেশীয় অস্ত্র সহ হালিমা বেগমের উপর হামলা চালায়। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে শান্ত তার পরনের কাপড় খলে নিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে হালিমা বেগম চিৎকার করে বাঁধা দিলে তারা সবাই ঘিরে মারিতে থাকে এবং লাঠি, রড ও চাকুর বাট দিয়া হালিমা বেগমের মাথা, চোখের কোণে, বুঁকে, হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে । এছাড়া মদিনা বাস কাউন্টারের শ্রমিক তার গলাই ছুরি ধরিয়া খুন করার হুমকি দেয়। বাদীর হাতে থাকা সোনার চুড়ি , নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা ও জমির দলিল ছিনিয়ে নেয়। সবশেষে খুন ও গুমের হুমকি দিয়ে আসামিরা চলে যায়। বাদীর মাথাায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হসপিটালে ভতি করা হয়। পরে সুস্থ্য হয়ে তিনি আদালতের আশ্রয় নেন।
রায়হান উদ্দীন