যশোরের খাজুরায় ট্রাক-মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের কেষ্টপুরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, যশোর থেকে মাগুরামুখী একটি হিরো কোম্পানীর রেজিষ্টেশন বিহীন হাঙ্ক মটর সাইকেল কেষ্টপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-উ-১৪-২৯৬২) মুখে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মটর সাইকেলের চালক ও আরোহী নিহত হয়। এ সময় ট্রাকটি সড়কের পাশে একটি রেইন্ট্রি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ট্র্রাকের ভেতরেই ড্রাইভার চাপা পড়ে ও হেলপার সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে আহত হয়।
নিহতদের একজন মটর সাইকেলের চালক যশোর শহরের বেজপাড়ার আক্তার হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (২৮)। অন্যজন মটর সাইকেলের আরোহী শহরের বারান্দীপাড়া মোল্লাপাড়ার রমজান আলীর ছেলে শাওন হোসেন (২৫)। এরা সম্পর্কে বন্ধু। শহরের আরএন রোডের নতুন বাজারে দু’জনের লাকী মটর পার্টস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আহত ট্রাক ড্রাইভার ময়মনসিংহয়ের মুক্তাগাছা উপজেলার মঙ্গলসেন গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ফজলুর রহমান (৬০) ও হেলপার।
খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জুম্মান খান জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতদের উদ্ধার করা হয়। আহত ট্রাক ড্রাইভারকে উদ্ধার করতে বাঘারপাড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। নিহত মটর সাইকেল চালক শামীমের বড়ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, ঘটনার দিন দুপুরে একসাথে দু’ভাই বাসায় ভাত খাই। ব্যবসার টাকা আদায় করতে জামালপুর শহরে যাবে এবং দু’দিনের মধ্যে যশোরে ফিরে আসবে বলে তাকে জানিয়েছিল শামীম। ট্রাকের হেলপার জানান, তারা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে আনোয়ার সিমেন্ট কোম্পানীর ফ্যাক্টারি থেকে টিন বোঝাই করে খুলনার ডিপোতে যাচ্ছিলো।
এদিকে, আটকে পড়া ড্রাইভারকে উদ্ধার করতে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের যশোর সদর ও বাঘারপাড়া ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাতদিন সংবাদ