বিশেষ প্রতিনিধি
গভীর রাতে কৌশলে এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে এক লম্পট। পরে হাতে নাতে ধরা পড়ার পর হামলা চালিয়ে লম্পটকে ছাড়িয়ে নিয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় লম্পটসহ তার পরিবারের ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের। আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ শিরিন বেগম, রাকিব হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ তানিয়া বেগম, ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন ও হিরাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
জনৈক কর্মজীবির স্ত্রী (২০) শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, রাকিব হোসেন প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিতো। উক্ত প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাকিব হোসেন সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ৩১ আগষ্ট রাত পৌনে ১১ টায় গৃহবধূর স্বামী কর্মস্থলে থাকায় খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াই টার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে গৃহবধূ বাইরে আসে। দরজা খুলে বাইরে যাওয়ার সুযোগে লম্পট রাকিব হোসেন গৃহবধূর ঘরে ঢুকে দরজার পিছনে কৌশল নিয়ে ওৎপেতে থাকে। গৃহবধূ বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার এক পর্যায় পিছন থেকে রাকিব হোসেন গৃহবধূকে জাপটে ধরে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। গৃহবধূ মুখ সরিয়ে চিৎকার দিলে ওই রাতে গৃহবধূর বৃদ্ধ শশুর দেবর দ্রুত ছুটে এসে লম্পট রাকিব হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে আশপাশের লোকজন আসার পূর্বে রাকিব হোসেনের মা, স্ত্রী, ভাইসহ ৪জনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জ লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ওই রাতে গৃহবধূর ঘর হতে রাকিব হোসেনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। লাঠির আঘাতে গৃহবধূর শশুর আলী আকবর (৬৩) ও ভাসুর রাসেদুজ্জামান (৩৮) গুরুতর আহত । লম্পটের পরিবার হামলা চালিয়ে চলে যাবার সময় প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শ্বশুর আলী আকবর ও ভাসুর রাসেদুজ্জামানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাতদিন সংবাদ