বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্র বাদে ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগে ট্রাক সহ একটি শাড়ির চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে বন্দরের ১৩ নাম্বার শেড থেকে শেড ইনচার্জের সহযোগীতায় শাড়ীর এই চালানটি পাচার করা হচ্ছিল। বেনাপোল কাস্টমস সুত্র জানায়, যশোরের ভাবনা এন্টারপ্রাইজ নামে একজন আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৬০২ প্যাকেজ রকমারী পণ্য আমদানি করেন। যার কাস্টমস বি/ই নাম্বার -৩২৯৩৭ তারিখ-১৩/০৮/২০- পন্য চালানটি ছাড় করার দায়িত্বে ছিলেন, পুটখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানের মালিকাধীন সিএন্ড এফ এজেন্ট রিমু এন্টারপাইজ। পন্যচালানটি কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে ডেলিভারি নেয়ার সময় কৌশলে একই শেডে লুকিয়ে রাখা অতিরিক্ত ১০ বেল উন্নত মানের বিয়ের শাড়ি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমানের নির্দেশে পন্য চালানটি আটক করা হয়। আটক ট্রাকের নাম্বার ঢাকা মে: ট –১৩-০৪৫৪। আটক অতিরিক্ত ১০ বেল শাড়ির কোন কাগজ পত্র ছিল না ট্রাকের সাথে। দীর্ঘদিন ধরে সে প্রভাব খাটিয়ে বন্দর থেকে কাগজপত্র বাদেই নো এন্ট্রি মালামাল পাচার করে আসছিল। সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন মাস্টার হাদিউজ্জামান। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তার মালিকানাধীন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজের বৈধ পন্যের সাথে অবৈধ পন্য আটক হওয়ার একাধিক রেকর্ড কাস্টমস এ আছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। তবে ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগে তার সিএন্ডএফ এজেন্টস লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রিমু এন্টারপ্রাইজের ভারত থেকে আমদানি করা একটি মাছের চালানে ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাকি ধরা পড়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রাজস্ব ফাকির অভিযোগে সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপাইজের একটি শাড়ীর চালান আটক করা হয়েছে। যার কোন কাগজপত্র ছিল না। তবে তার লাইসেন্স বাতিলের পক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি