জমি জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দেবর ও শশুড়ের হামলায় এক গৃহবধু এবং তার শিশু বালক মিরাজ (১৩) আহত হয়েছে। একই সাথে তারা গৃহবধুর শ্লীলতাহানীও ঘটায়। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শনিবার কোতয়ালি মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া খাঁন পাড়া গ্রামে। আসামীরা হচ্ছে, ওই গ্রামের মজিদ খাঁনের ছেলে দেবর আনিস খাঁন, মফিজ খাঁন ও এলাদত খানের ছেলে শ্বশুর মজিন খাঁন। সদর উপজেলার বসুন্দিয়া খাঁনপাড়ার মানিক খানের স্ত্রী নিলিমা খাতুন বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন,দেবর ও শ^শুরের সাথে জমি জায়গা নিয়ে তার এবং তার স্বামীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৭ জুলাই সকালে নিলিমা গোয়াল ঘর হতে গরু বের করার সময় আনিস খাঁন ঘরের সামনে এসে গালিগালাজ শুরু করে। নিলিমা খাতুন প্রতিবাদ করলে তাকে মজিদ খাঁনের হুকুমে আনিস খাঁন ও মফিজ খান বেধড়ক মারপিট শুরু করে। মাকে ঠেকাতে শিশু ছেলে মিরাজ খাঁন (১৩) এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে। দেবর আনিস খাঁন ও মফিজ খাঁন আটকে রেখে পরে তিনজনের মিলে নদীর পাড়ে নিয়ে মারপিট পর্যন্ত করে। নিলিমা খাতুনের গলায় থাকা ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় পরনের শাড়ী কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। নিলিমা খাতুন ও তার স্বামী মানিক খাঁনকে বাড়ি হতে নামানোর জন্য র্দীঘদিন যাবত নির্যাতনসহ হুমকী ধামকী দিয়ে আসছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় একটি ভ্যান যোগে নিলিমা খাতুনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়। আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে
রাতদিন সংবাদ