যশোরের বাঘারপাড়ায় গাছ চোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওই অঞ্চলে একে পর এক গাছ কেটে সাবাড় করছে একটি দুর্বৃত্ত চক্র। ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশের গাছসহ বিভিন্ন মানুষ গাছ জোর পূর্বক কেটে সাবাড় করছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে চক্রটি। যে কারণে গাছ চোর চক্রটি সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।জানা গেছে, বাঘাপাড়ার উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে একটি গাছ চোর সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা স্থানীয় নারকেল বাড়িয়া গ্রামের আছালত সরদারের ছেলে মিলন সরদার। তিনি ওই এলাকার সড়কের পাশেসহ সাধারণ মানুষের গাছ জোর পূর্বক দিন-দুপুরে কেটে সাবাড় করছে। স্থানীয়রা কয়েকবার তার বিরুদ্ধে ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। এতে করে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মিলন সরদার। দিন দিন গাছ চুরির সিন্ডিকেটের সদস্য বাড়িয়েই চলেছে। এই সিন্ডিকেটের অন্তত: ২০জন সদস্য এখন ওই অঞ্চল থেকে গাছ সাবাড়ে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ।অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিমা গ্রামের গোলাম রহমান বিশ্বাসের জমি থেকে জোর পূর্বক বড় বড় তিনটি মেহগণি ও একটি কড়াই গাছ কেটে নিয়েছে এই গাছ চোর সিন্ডিকেট। চোর চক্রের হোতা মিলন সরদার ও তার সহযোগি সাইফুর রহমান জোর পূর্বক চারটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে গাছ কাটা বন্ধ করতে পারলেও ওই গাছ দখলে নিতে পারছেন গোলাম রহমান। এখন জীবননাশের আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। এ ঘটনায় গোলাম রহমান বিশ্বাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগে গোলাম রহমান বিশ্বাস বলেন, তার জমি থেকে মিলন সরদার ও তার সহযোগিরা প্রকাশ্যে গাছ কেটে নিয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় গোলাম রহমান বিশ্বাসকে জীবনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। গোলাম রহমান বিশ্বাস বলেন, এই চক্রের ভয়ে আমি এখন আমার বাড়িতে যেতে পারছি না। গাছ চোর সিন্ডিকেট আমাকে হত্যাসহ বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটাতে পারে।এ ব্যাপারে মিলন সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক শুনে ক্ষেপে যান। তিনি সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।গাছ চুরি সম্পর্কে জানতে সাইফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই গাছ আমার লাগানো। আমি ওই গাছ লাগিয়েছি। এখন আমি কাটছি। কিন্তু আমার বড় ভাই বাধা দিচ্ছে।গাছ চুরি সম্পর্কে স্থানীয় নারিকের বাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলে দিয়েছি। গাছ চুরির সাথে পুলিশের কোন সম্পর্ক নেই।
বিশেষ প্রতিনিধি