ভারতের পাহাড়ের রানি দার্জিলিং আগামী ১ জুলাই থেকে পর্যটকদের আবারও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাস অবরুদ্ধ অবস্থায় (লকডাউন) থাকার পর আকর্ষণীয় এই পর্যটন গন্তব্যে ইতোমধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।দার্জিলিংয়ের পাহাড়গুলোর স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক সংস্থা হিসেবে কাজ করে গোরখা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। সম্প্রতি তারা স্থানীয় রাজনৈতিক দল, হোটেল মালিক, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে। তাদের সবশেষ বৈঠকে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পর্যটনের উদ্দেশে হোটেল পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।নতুন আদেশশে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী হোটেল মালিকদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল কঠোরভাবে অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।চা বাগান ও জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে দার্জিলিং বিখ্যাত। কিন্তু লকডাউনের কারণে এই খাতে বিশাল ধাক্কা লেগেছে। এ কারণে অনেক ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই অর্থনীতিকে চাঙা করতে সেখানে আবারও হোটেল খুলছে।
জিটিএ প্রধান বিনয় তামাঙ বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পর্যটন পাহাড়ি এলাকার শিরদাঁড়া। করোনাভাইরাসের ব্যাপারে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, কিন্তু জীবন-জীবিকাও বাঁচাতে হবে। হোটেল মালিকরা আবারও তাদের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সারাভারতের মানুষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তারা। এখানে কোনও ঝুঁকি নেই, আমরা বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’যদিও পাহাড়ের এই রাজ্যে প্রবেশের আগে পর্যটকদের ফিটনেস সনদ দেখাতে হবে। জানা গেছে, দার্জিলিং শহরে পৌঁছানোর আগে প্রত্যেক পর্যটককে দুটি পৃথক পয়েন্টে স্ক্রিনিং পরীক্ষা দিতে হবে। এছাড়া সব হোটেলকে প্রবেশপথে স্ক্রিনিংয়ের সরঞ্জামসহ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আউটলুক