যশোরে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা. মেহেদী

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন প্রশাসন, ডাক্তার, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই করোনাকালে মানুষের সেবা প্রদানকালে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আর এই আক্রান্ত এবার যশোর জেলায় পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা. মেহেদী হাসান। নিরাপদ থাকতে সবাই যেখানে বাসায় অবস্থান করছেন, সেখানে নিয়মিত ফ্রি টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এ পর্যন্ত তার পরামর্শে প্রায় ৭’শ জন করোনা রোগী সুস্থ্য হয়েছেন।
ডা. মেহেদী হাসান মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আলহাজ্ব জবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি একজন রোগীবান্ধব ডাক্তারের সুনাম কুঁড়িয়েছেন। রোগীদের সাথে পরম মমতার বুলি দিয়ে, সাহস যোগানোর মতো আচরণ দিয়ে মানবিক ডাক্তারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিস সময়ের বাহিরেও তিনি রাত-বিরাতে দিয়ে যাচ্ছেন ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা। সম্প্রতি যশোরের ৮জন করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ডা. মেহেদী হাসান ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে যশোরের মানুষের সেবা দিতে যেয়ে অনেক পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮জন পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ পজেটিভ তারা সবাই আইসোলিশনে ডা. মেহেদী হাসানের চিকিৎসা সেবা এবং পরামর্শ গ্রহণ করছে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে। যারা এখনও সুস্থ্য আছি আমরা আনঅফিসিয়ালী ডা. মেহেদী হাসানের পরামর্শ গ্রহণ করছি সুস্থ্য থাকার জন্য। তবে ডা. মেহেদী হাসান এই চিকিৎসা সেবায় কোন ফি নিচ্ছেন না। যা আমাদের সকলের জন্য ভাল হবে বলে আমি মনে করি।
ডা. মেহেদী হাসান বলেন, মানবসেবায় হচ্ছে সবচাইতে বড় ধর্ম। তার এই পেশায় আসার প্রধান কারণই হলো মানবসেবা করা। মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য তিনি সংকটময় সময়েও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি সাধ্যমত গরীব ও অসহায় অনেক রোগীদের বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা করেই আমি আত্মতৃপ্তি পাই। মানব সেবা যেন আমার জীবনের একটি বড় অংশে পরিনত হয়েছে। যতিদিন বেঁচে আছি, আমি মানুষের সেবা করে যাব।

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর (যশোর)

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর