![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/3665824317-1713665889497.gif)
কমিউনিটি ক্লিনিকে পিওন পদে ২০ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তার দুই সহযোগিকেও আসামি করা হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শানতলা এলাকার আসিফ হোসাইন রোববার এ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ সিআইডি যশোরের বিশেষ পুলিশ সুপারকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন, সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আহসান আহমেদ ও নাটুয়াপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম।
আসিফ হোসাইন মামলায় উল্লেখ করেছেন, ডা. মীর আবু মাউদের দুই সহযোগী আহসান আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম মৌখিকভাবে বিভিন্ন স্থানে প্রচার করেন যে, সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য অফিস সহায়ক (পিওন) পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। যাদের বেতন ১০ হাজার ৫শ’ টাকা। নিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরে আসিফ হোসাইনসহ ২০ জন চাকরির জন্য আহসান আহমেদ ও সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মীর আবু মাউদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আসিফ হোসাইনসহ চাকরি প্রত্যাশীরা ডা. মীর আবু মাউদের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন ডা. মীর আবু মাউদ তাদেরকে জানান, এসময় চাকরির জন্য ডা. মীর আবু মাউদ জন প্রতি আড়াই লাখ টাকা করে দাবি করেন। ওই টাকা দিলে তিনি নিজেই প্রত্যেককে নিয়োগপত্র দিয়ে দিবেন বলেও আশ্বাস্ত করেন। এক পর্যায়ে চাকরি প্রত্যাশীদের অনুরোধে তিনি আড়াই লাখের পরিবর্তে ২ লাখ টাকা করে নিতে রাজি হন। এরপর ২০২৩ সালের ১০ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চাকরি প্রত্যাশীদের ২০ জন ডা. মীর আবু মাউদকে দুই লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা গ্রহণের পর ডা. মীর আবু মাউদ পারাডাইস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ২০ জনকে বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে পিওন পদের নিয়োগপত্র দেন। ওই পত্র পাওয়ার পর একই বছরের ১০ জুলাই আসিফ হোসাইন রামনগর ইউনিয়নের রামনগর দক্ষিণ পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে যোগদান করেন। এছাড়া অন্যারা বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে যোগদান করেন। তাদের বেতন দেওয়া হতো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু তাদেরকে ১০ হাজার ৫শ’ টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তারা পেতেন ৫ হাজার টাকা করে। কয়েক মাস চাকরির পর তাদের বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ডা. মীর আবু মাউদসহ অপর দুই অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীরা পারাডাইসের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানান যে, তাদের অফিস থেকে এ ধরনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আসিফ হোসাইনসহ অন্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে চাকরি প্রত্যাশীদের দিয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্তরাই নিজেদের টাকা দিয়ে প্রত্যেককে মাসে ৫ হাজার টাকা করে বেতন দিতেন। এভাবে চাকরি প্রত্যাশীদের ঠকিয়ে তারা ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে ভুক্তভোগীরা অভিযুক্তদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা অস্বীকার করেন। অভিযুক্তদের এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলেও টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। যে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আসিফ হোসাইন।
রাতদিন সংবাদ
![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/713658224971-1713658341531.gif)