![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/3665824317-1713665889497.gif)
বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই মামলার অন্য চার আসামীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসমাীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়া সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে তারা।পরে এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকে এবং স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করে। তার স্ত্রী কে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং স্ত্রীর পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহণ করে। গত ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট তারিখে ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ সৎকারের পর ৮ আগস্ট কচুয়া থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা সুবোধ কুমার বাগেরহাট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ৪ মার্চ ২০২০ সালে ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দেন। অন্য আসামীদের অব্যাহতি দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান।
রাতদিন ডেক্স-
![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/713658224971-1713658341531.gif)