যশোরের সাতমাইলে উদ্ধার হওয়া আখিকে বলু দেওয়ানের মেলায় আনার কথা বলে বাড়ি থেকে এনে প্রধমে ধর্ষণ এরপর ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। যার মুল নায়ক আখির পালিত বাবা। পুলিশ তাকে আটক করেছে। আটকের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পুলিশ সুপার কনফারেন্স রুমে এক প্রেস বিফ্রিংএ এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।
তিনি জানান, প্রথমে তাকে চৌগাছায় মেলায় নিয়ে যায় পালিত বাবা মিন্টু সরদার। সেখান থেকে আখিকে যশোরের ষ্টেশন এলাকার হোটেল বৈকালীতে বাবা-মেয়ে পরিচয়ে দুপুর একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থাকেন। এ সময় আখিকে ধর্ষণ করে। পরে যশোর শহর ঘুরে রাত আটটার পর রেল স্টেশনে যায় তারা। এরপর স্টেশনের প্লাট ফর্মের পাশের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে আবারো আখিকে ধর্ষন করে। রাত ১১ টার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগ্রামী সিমান্ত এক্সপ্রেসে উঠেন। বারিনগর এলাকায় পৌছালে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় আখিকে। পরে মিন্টু বাড়ি ফিলে আখি পালিয়ে গেছে বলে মিথ্যা কথা বলে।
১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে যশোরের সাতমাইল এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনের অদূরে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত হিসেবে আখির রক্তাত্ব মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়না। পরে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার ফেসবুকে ছবি দেখে শনাক্ত হয় ওই কিশোরী আখি। আখি দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মহেশপুরে অভিযান চালিয়ে মিন্টুকে আটক করে। পরে তার কথা মত রেলস্টেশন এলাকায় হোটেল বৈকালী থেকে হোটেলের রেজিস্টার খাতা জব্দ করে। এছাড়া মিন্টুর বাড়ির পাশ থেকে গর্তে পুতে রাখা একটি সিগারেটের প্যাকেট থেকে আখির পায়েল ও দুই হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইওয়ান মামুন খান, ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার ও এসআই মফিজুল ইসলাম।
এঘটনায় আখির মা নুরজাহান বেগম মিন্টুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে।
রাতদিন সংবাদ