কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুর উপজেলার তেঘরী গ্রামের গ্রাম্য পশু ডাক্তার রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে চেতনা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে প্রায় দু‘ভরি স্বর্নালংকার নগত ১৮ হাজার টাকা দুটি মোবাইল সেট সহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে । এসময় বাড়িতে থাকা গৃহকর্তার স্ত্রী পারভিনা বেগম (৩৫), কন্যা নবম শ্রেনির মাদ্রাসা ছাত্রী হুমাইরা খাতুন(১৪) ও তাবাচ্ছুম খাতুন(০৬) অচেতন হয়ে পড়ে। ওই দিন গভীর রাতে পেশার কাজ শেষে গৃহকর্তা ডাক্তার রবিউল ইসলাম বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে ডাকা ডাকি করলে না ওঠাই তিনি মনে করেন গভীর গুমের কারনে হয়ত ডাক শুনছেনা। এ ভেবে তিনি নিজেই খাদ্য বেড়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে স্ত্রী সহ দু ‘কন্যা ঘুম থেকে না ওঠাই তিনি জানতে পারেন তারা অচেতন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্ত্রী সহ দু কন্যার জ্ঞান ফিরলে জানতে পারেন বাড়ি থেকে দু‘জোড়া কানের দুল,চেইন,ব্যাসলেট,আংটি,নাকফুল সহ নগত ১৮ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ও মালামাল লুট করে নিযে গেছে।
একই দিনরাতে গ্রাম্য পশু ডাক্তার রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে একই গ্রামের হাদিউজ্জামান মোল্যার বাড়িতে চেতনা নামক ওষুধ প্রয়োগ করে নগত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় একঘর থেকে আরেক ঘরে যেয়ে অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্য লুটপাট করার সময় ওই ঘরে থাকা হাদিউজ্জামানের ছোট ভাই শিমুল হোসেন টের পেয়ে একজনকে ঝাপটে ধরেন। এসময় তার সাথে অজ্ঞান পার্টির ধস্থাধস্থির একপর্যায়ে সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তিনজনই পালিয়ে যায় বলে হাদিউজ্জামান জানান।
একই রাতে উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারের ঔষুধের দোকান থেকে নগত ৫ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। অন্যান্য দিনের মত এ রাতেও তিনি যথারিতি দোকান বন্ধ করে তার গ্রামের বাড়ি হাড়িয়াঘোপ গ্রামে চলে যান। ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে দোকান ঘরের দরজা খুলে ভিতরে দেখতে পান সবকিছু এলোমেলো। পরে দোকান মালিক শহিদুল ইসলাম দেখতে পান দোকানের পিছন পার্শ্বের টিন কেটে চোরেরা ভিতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে নগত ৫ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়েগেছে।
এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর থানার ওসি তদন্ত শুব্রত এর নেতৃত্তে একদল পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছেন। থানায় ফিরে আসলে সবকিছু জানা যাবে বলে জানালেন থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার।
এদিকে এঘটনার তিন দিন আগে ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধা রাতে ভান্ডার খোলা গ্রামের বাসিন্দা ভান্ডারখোলা বাজারের বড় মুদি দোকান মালিক নিয়ামত আলি বাড়িতে একদল ডাকাত প্রবেশ করে স্বর্নালংকার ও নগত ২০ হাজার টাকা সহ লক্ষাধীক টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে ওই ব্যবসায়ীর সূত্র জানায়। এসময় বাড়িতে মহিলারা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলোনা। পুরুষরা ছিলো ভান্ডার খোলা বাজরে। এসব অপরাধ ঘটেছে উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে।
রাতদিন ডেস্ক/ জয়