রেকর্ডটা হয়তো ভাঙতই। তবে সেটা আরও কয়টা ম্যাচ টেনে নেওয়ার ইচ্ছা নিশ্চয়ই ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু তা আর হলো না। আজ ভারতের কাছে হেরে টানা ১৩ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড থেমেছে স্বাগতিকদের। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটা ভারত জিতেছে ৪১ রানে।
এই জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠাও নিশ্চিত হয়েছে রোহিত শর্মার দলের। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের উইকেট যেন রহস্যের জাল বিছিয়ে রেখেছে! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়ার মাঝেও পাকিস্তানের বিধ্বংসী বোলিং লাইনআপকে পাড়ার কাতারে নামান ভারতের ব্যাটাররা। একই ম্যাচে ভারতের বোলারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেছে পাকিস্তান। সেই ভারতের ব্যাটিং লাইনআপই কি না উল্টো শ্রীলঙ্কার ‘আনকোরা’ বোলারদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে অলআউট ২১৩ রানে। ভারতীয় বোলাররা আরও একধাপ এগিয়ে লঙ্কানদের গুটিয়ে দিয়েছেন ১৭২ রানে।
মূলত শ্রীলঙ্কার স্পিন বিষে নীল হয়েছে ভারত। সব কটি উইকেটই গেছে তিন স্পিনারের দখলে। বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ওয়াল্লেলেগের শিকারই পাঁচ উইকেট। ২০ বছর বয়সী তরুণ এই স্পিনারের এটি প্রথম ‘ফাইফার’। অনিয়মিত বোলার চরিথ আসালাঙ্কা ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ ইকোনমিতে ১৮ রান দেওয়া আসালাঙ্কার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারই হয়ে গেছে এটি। অন্য উইকেটটিও নিয়েছেন আরেক স্পিনার মহীশ তিকশানা।
ভারতের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন ওয়াল্লেলেগে। শুবমান গিল, রোহিত, কোহলি, লোকেশ রাহুল-প্রথম চার উইকেটই তাঁর। এর মধ্যে রোহিত ৫৩ রান করেছেন। ভারতের ওপেনিং জুটি অবশ্য অন্য বার্তাই দিয়েছিল। রোহিত-গিলের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮০ রান। এ ছাড়া আর একটাই জুটি হয়েছে। ইশান কিষান ও রাহুলের চতুর্থ উইকেট জুটি থেকে ৬৩ রান। একপর্যায়ে ১৮৬ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারত ২০০ ’শ পেরিয়েছে অক্ষর প্যাটেলের ২৬ রানের ইনিংসে।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় একপর্যায়ে একশ রানে আগে ছয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৭ রানে পাথুম নিশাঙ্কা ও ২৫ রানে জাসপ্রিত বুমরার শিকার কুশল মেন্ডিস। বুমরার সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা। তবে সপ্তম উইকেটে ওয়াল্লেলেগেকে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দলীয় ১৬২ রানে দুজনের ৬৩ রানের জুটি ভাঙার পর আর মাত্র ৮ রান যোগ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। এই হারে থামল লঙ্কানদের অজেয় যাত্রা।
অনলাইন ডেস্ক