মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে রহিমা বেগম (৩৫) নামের এক বিধবা নারী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে বরুন দত্ত নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার পোড়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রহিমা বেগম ওই গ্রামের মৃত ইহছানুল ফকিরের স্ত্রী এবং আটক বরুন দত্ত একই গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দত্তের ছেলে। রহিমা বেগমের ভাই আবদুল্লাহ বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ঘটনার রাতে বিধবা নারীর ঘরে বরুন দত্ত অতি গোপনীয়তার সাথে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে রহিমা বেগমকে মিথ্যা অপবাদ দিতে বরুন তার ঘরে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা ও বরুনকে মারধর করে। এক পর্যায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন, গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু হানিফা ও আব্দুল মান্নান বরুনকে তাদের জিম্মায় নেয়। অভিযোগ উঠেছে তারা পুলিশে খবর না দিয়ে বিষয়টি অর্থের লেনদেন করতে বরুন দত্তের বাবার কাছে দেনদরবার শুরু করে। এছাড়া অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাকে আ’লীগ নেতা আক্তার হোসেনের বাড়িতে সারা রাত আটক রাখা হয়। অপরদিকে রহিমা বেগমকে তার নিজ বাড়ির ঘরে রাখা হয়। এরমধ্যে রাতের কোন এক সময় অপমান সইতে না পেরে রহিমা বেগম নিজ ঘরের আড়াই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রহিমা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর বিল্লাল হোসেন মোড়ল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি গোপনে মিমাংসার জন্য বরুন দত্তকে আটক রাখা হয়েছিল। অত্মহত্যার শিকার রহিমা বেগমের ভাই আবদুল্লাহ বিশ্বাস দাবী করেন, তার বোনকে নিয়ে আটক বরুণসহ কয়েকজন মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।
জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বরুন দত্তকে আটক করা হয়েছে।
আর কে-০৬