মণিরামপুর প্রতিনিধি
মণিরামপুরে ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বয়োবৃদ্ধা গীতা রানী চক্রবর্তী (৭০)-কে হাত-পা বেঁেধ মারপিট করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। দুই ছেলে চাকরীর সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিদিনের মত সকালে মায়ের খোঁজ নিতে মোবাইলে ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে সাড়া না পেয়ে গ্রামের লোকজনকে জানান এক ছেলে। পরে গ্রামের লোকজন আহত অবস্থায় বয়োবৃদ্ধাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মণিরামপুর উপজেলার আ¤্রঝুটা গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটেছে। গীতা রানী চক্রবর্তী ওই গ্রামের মৃত অজিত চক্রবর্তীর স্ত্রী। তার দুই ছেলের মধ্যে ভৈরব চক্রবর্তী যশোর জেলা সাবরেজিস্ট্রী অফিসে এবং আরেক ছেলে বিশ^জিৎ চক্রবর্তী সাতক্ষীরা আদালতে পুলিশের উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ভৈরব চক্রবর্তী জানান, তারা দুই ভাই চাকরীর সুুবাদে বাইরে থাকেন। বাইরে থাকলেও প্রতিদিন সকাল, বিকেল ও রাতে মায়ের খোজখবর নেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মায়ের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলেও সাড়া না পেয়ে গ্রামের লোকজনকে জানানো হয়। আহত অবস্থায় মাকে গ্রামের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি মায়ের কাছেই আছেন জানিয়ে আরও বলেন, মা ইশারায় তাদের জানিয়েছেন গ্রীল কেটে ঘরের ভিতরে দুইজন লোক ঢুকলে মা চিৎকার দিতে গেলে গলা টিকে ধরা হয় এবং মারপিট করে বেঁেধ ফেলে রাখা হয়।
প্রতিবেশী সুদ্বীপ কুমার জানান, বৃদ্ধার ছেলেরা ফোন করে যোগাযোগ করতে না পেরে তাদের জানানো হয়। তারা বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে এক পর্যায় ঘরের জানালার গ্রীল কাটা দেখতে পান। এসময় ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। এসময় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো থানায় অভিযোগ হয়নি। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশীর সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
মণিরামপুরে রাতের আধারে হাত-পা বেধে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট
