বিশেষ প্রতিনিধি- অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মডার্ন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্টে প্রদান। রিপোর্ট ভুলের কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ভুক্তভোগী রোগীকে টাকা ফেরত দিয়ে মিমাংশার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে, মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গেলে শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালি গ্রামের হাদিউজ্জামান লাল্টুর পুত্র সাজিদ মাহমুদ (১৮) জানান, গত শনিবার ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত রবিবার সিবিসি পরীক্ষার জন্য লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার থেকে রিপোর্ট করাই সেদিন প্লাটিলেট আসে ৯৮ হাজার। সোমবার সকালে আবারও প্লাটিলেট পরীক্ষার করাতে চাইলে এসময় মডার্ন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে লোক এসে বøাড নিয়ে যায় এবং কিছুখন পর এসে সেই লোক রিপোর্টের কাগজ দিয়ে যায়। রবিবারের রির্পোটে ৯৮ হাজার প্লাটিলেট যা একদিনের ব্যাবধানে ১লাখ ৯৩ হাজার আসায় কর্তব্যরত ডাক্তারের সন্ধেহ হলে। রোগীর সজনদের পুনরায় পরীক্ষা করাতে বলেন এসময় ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করা হলে ১লক্ষ ১৮হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে মর্ডান ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে গেলে তারা কৌশলে রিপোর্টের কাগজ রেখে দেন। এবং বিষয়টি কাউকে না জানানো অনুরোধ করে টাকা ফেরত দেয়। এসময় আরোও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইতি পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানের ভুল রির্পোট দেওয়ার প্রতিবাদ করার কারনে হাসপাতালের মেডিকেল এ্যাসিস্টেনের সাথে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকদের মারামারি হয়। ঘটানার সত্যতা সিকার করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক সৈমিত্র ভৌমিক বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের কাজে যশোর ছিলাম, কর্মচারিদের মাধ্যমে জানতে পারি এক জন রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষার রির্পোট ভুল হয়েছে তাই নিয়ে সমস্য হচ্ছে। আমি যেহেতু বাহিরে ছিলাম তাই তাদের টাকা ফেরত দিতে বলি। আগে অনেকের এমন ভুল রির্পোর দেওয়ার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি কথা না বলে মোবাইল রেখে দেন। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.ওহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কাজে আছেন বলে মোবাইল ফোন কেটেদেন। অনিবন্ধিত ও ভুল রির্পোট প্রদানের বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, রির্পোট প্রদানে এমন অনিয়ম হলে তথ্যপ্রমানে ভিত্তিতে তারদের বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। নিবন্ধন আছে কিনা তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখেবো।
রাতদিন ডেস্ক/ জয়- ০৩