Friday, March 29, 2024

বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

- Advertisement -

বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। সতর্কতা জারি করে তিনি বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়েও সেটি ‘মারাত্মক ও প্রাণঘাতী’ হতে পারে।

- Advertisement -

তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ কমে আসায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস অবশ্য বলছেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে।’

মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে নিজের রিপোর্ট পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান এসব কথা বলেন। তিনি বলছেন, যখন পরবর্তী কোনও মহামারি আঘাত হানবে তখন আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।

টেড্রোস বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

এছাড়া করোনা মহামারি ২০১৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষিত ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০২

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত