স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম মানতে পারেননি স্বামী। মামাতো ভাইয়ের সাথে চুকিয়ে পরকীয়া প্রেমের তথ্য-উপাত্ত উদঘাটনের পর জ্বলে-পুড়ে মরেছেন। তারপর যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে ফোনে পার্কে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন আলী ইমাম খান অনু (৩০) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। আজ সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে ঝালুকাঠিতে প্রস্তাবিত ইকোপার্কে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সায়মা পারভীন তানহা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি শহরের টিনপট্টি সড়কের শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ঝালকাঠি শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার দলিল লেখক দিদার হোসেন নান্নার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোপনে বিয়ে করেন প্রতিবেশী সায়মা পারভীন তানহাকে। বিয়ের পরে তারা আলাদাভাবে নিজের বাবার বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি মেয়েটি ফেসবুকে অন্য এক যুবকের সঙ্গে চ্যাট করতেন। বিষয়টি জানতে পারে অনু রবিবার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত লিখে স্ট্যাটাস দেন। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্ত্রীকে ফোনে ইকো পার্কে ডেকে আনেন অনু। এরপর ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও চ্যাটিং নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনু ছুরি দিয়ে পেটে ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তানহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে অনু তার ফেসবুকে বেলা ১২টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও ছুরি উদ্ধার করে।
অনু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার বউ পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছিল, তাই নিজেই তাকে খুন করেছি। এজন্য আমি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়।’
অপর একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতক বেঈমানের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরপারে ভালো থেকো বউ, পরকীয়ার মজা এইবার অন্তত বুঝলা।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনুকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান-অনু ছাত্রলীগ করতেন। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এনিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-১৭