আধুনিক এই যুগে তরুণ প্রজন্মের জন্য রাত জাগা নতুন কিছু নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রাত জাগা যেন স্বাভাবিক ঘটনা। সারা রাত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করে কখন যে রাত পার হয়ে যায় সেটি অনেকেই বুঝতে পারেন না। রাত জাগার জন্যও যে আলাদা একটি দিবস আছে সেটি সেই রাত জাগা মানুষদেরও অজানা। রাতের সৌন্দর্য আর মাদকতা উপভোগ করার জন্য প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় সারা রাত জাগা দিবস। আজ (শনিবার, ১৩ মে) সারা রাত জাগা দিবস। প্রতি বছর ব্যতিক্রমী এ দিবসটি আমেরিকায় পালন করা হয়।
মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে যে পেশার মানুষেরা্ রাত জেগে কাজ করেন, তাদের সম্মান জানাতে এই দিবস পালন করা হয়। পুরো পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক পেশাই রয়েছে যেখানে দিনের পাশাপাশি রাতেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীদের কাছে রাত-দিন যেন একই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা কল সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও নিয়ম করে পালাক্রমে রাত জেগে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সারা রাত মাছ ধরে সকালে জেলেরা ঘরে ফেরেন। নৈশপ্রহরী রাত জেগে পাহারা দেন বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাই। এমন অনেক পেশার মানুষই সারা রাত জেগে জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে রাত জাগা মানুষের সংখ্যা বাড়লেও আদিকাল থেকেই মানুষ রাত জাগতো। রাত্রির এক অদ্ভুত মাদকতা আছে, আছে সম্পূর্ণ ভিন্নতর এক রূপ। রাতের নিস্তব্ধতায় বাক্সবন্দী আবেগগুলো যেমন বাইরে বেরিয়ে আসে, তেমনই প্রকৃতিও খুলে বসে রহস্যের পসরা। সারা রাত জাগা দিবস চাইলে পালন করতে পারে যে কেউ।
বিশেষ এই দিবসটি পালন করতে পারেন ছবি দেখে, রাতের ভ্রমণে বের হয়ে, রাতের বেলা চমৎকার খেলাধুলার আয়োজন করে। ব্যতিক্রমী এই দিবসটি পালনের সবচেয়ে সুন্দর উপায় হলো ছবি দেখা। রাতের বেলা আপনি যদি ভৌতিক কোনো ছবি দেখেন তাহলে সময় তো কাটবেই সঙ্গে ভয়ে সারা রাত জাগাও হবে। এছাড়া রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভ্রমণে বের হয়েও এ দিবসটি পালন করতে পারেন। যদি আপনি একা রাতকে উপভোগ করতে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে যে কোনো খেলাধবুলার আয়োজন করতে পারেন। সারা রাত খেলাধুলা শেষে ভোর বেলা খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে ইতি টানতে পারেন দিবসটি পালনের। সূত্র: ন্যাশনাল টুডে