যশোরের চৌগাছার বড় কাবিলপুর গ্রামে গৃহবধূ রহিমা খাতুন (২৭) হত্যা মামলার আসামি নিহতের ভাসুর রুস্তম আলীকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। রুস্তম আলী ওই গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রায় ১০ বছর আগে রহিমার সাথে আটক রুস্তমের ছোট ভাই মহিউদ্দিনের বিয়ে হয়। রুস্তম আলী ছিলো রহিমার ভাসুর। গত ২৩ মার্চ বেলা ১২টার দিকে প্রতিবেশিরা রহিমার চিৎকার শুয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে তাকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখেন। সে সময় রুম থেকে ভাসুর রুস্তম আলীকে বের হতে দেখে লোকজন। মুখ দিয়ে বিষের গন্ধ বের হতে থাকে। পড়ে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকেলে রহিমা মারা যান। পুলিশ রহিমার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পুলিশ দেখতে পায় রহিমার শরীরে আঘাত এবং গলাই ফাঁস দেয়ার চিহ্ন রয়েছে। তার মুখ দিয়ে কিটনাশকের গন্ধ বের হচ্ছে। ওই দিন সকালে রহিমার সাথে ভাসুর রুস্তমের ঝগড়া হয়।
পিবিআই এই ঘটনায় রুস্তম আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবং পারিপার্শিকতা বিবেচনা করে রহিমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৭