বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধিঃ বাঘারপাড়ায় রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের দুটি পুকুরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েও পুকুর লিজ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ তার আপন ভাগ্নেকে পুকুর লীজ দেওয়ার সব আয়োজন চুড়ান্ত করেছেন বলে অভিযোগ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান।
সর্বোচ্চ দরদাতা মেসার্স ফরহাদ মৎস্য খামারের মালিক ইউনুচ আলী শেখ জানান, রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের দুটি পুকুর ১৪এপ্রিল ২০১৮ সাল হতে ১৩ এপ্রিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেসার্স ফরহাদ মৎস্য খামার নামে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি বদ্ধ হয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১০ মার্চ ২০২৩ তারিখে পরিচালনা পরিষদ দুটি পুকুর পূনরায় পাঁচ বছরের লীজ দেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে তিনি আবারো লীজের জন্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে দরদাতা হিসেবে প্রথম টেন্ডারে অংশগ্রহন করেন। এসময় তিনি (ইউনুচ আলী) সাত লাখ ২৮ হাজার টাকা দর দিয়ে তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবারো ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টেন্ডার আহবান করেন। এ টেন্ডারে কোন দরদাতা অংশ গ্রহন করেননি। ফলে আবারো ১৬ এপ্রিল তৃতীয় টেন্ডার আহবান করেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে ২মে সিডিউল জমাদানের শেষ দিন ধার্য ছিল। শেষ দিনে অধ্যক্ষের ভাগ্নে পে -অর্ডার ছাড়াই একটি সিডিউল জমা দেন। টেন্ডার কমিটি পে-অর্ডার না থাকায় তার সিডিউল বাতিল করেন।
ইউনুচ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হলেও অদৃশ্য কারনে তার নিকট পুকুর লীজ না দিয়ে সিডিউল বাতিল হওয়া অধ্যক্ষের আপন ভাগ্নে নলডাঙ্গা গ্রামের সুমনকে পুকুর লীজ দেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, পুকুরে আশানরুপ দর না উঠায় টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। পূনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে। কাগজপত্র সঠিক না থাকায় সুমনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হাজী জাফর সাংবাদিকদের বলেন, পে-অর্ডার না থাকায় সুমনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। পূনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে। কোন অনিয়ম হলে অধ্যক্ষ দায়ি থাকবেন।
আর কে-১০