গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের খালধার রোড এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে আন্নিসা খাতুন ও পূর্ববারান্দী পাড়ার শহিদুল ইসলাম খোকনের মেয়ে জান্নাতুল মীম বাদী হয়ে আলাদা এ মামলা করেছেন।
অতিরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ মামলা দুইটি সিআইডি ও পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আন্নিসা খাতুনের মামলার আসামিরা হলো, সদরের বড় হৈবতপুর গ্রামের শওকত আলী ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, ছেলে আকরামুজ্জামান, অহিদুজ্জামান।
আন্নিসা খাতুনের অভিযোগ, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই আসামি আকরামুজ্জামান পারিবারিক ভাবে আন্নিসা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় আন্নিসার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন আসামিরা। এরমধ্যে আন্নিসা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। গত ১৩ মার্চ রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামিরা একজন অপরিচিত নার্স বাড়িতে এনে হাত-পা বেধে একটি ইনজেকশন দিয়ে দেন। পরদিন তিনি জ্ঞান ফিরে বুঝতে পারেন আসামিরা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে দিয়েছেন। এবিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় আন্নিসাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
জান্নাতুল মীমের মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ঘোপ ছাতিয়ানতলা গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুন, ছেলে মহব্বত আলী, শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়ার সাব্বির হোসেন ও তার স্ত্রী নাইস আক্তার তুলি এবং মোল্যাপাড়া আমতলার হেমায়েতের ছেলে জুয়েল।
মীমের অভিযোগ, ২০২১ সালের ৮ জুন বিয়ের পর মীম তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়ি চলে আসেন। একই ভাবে আসমিরা পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকদাবি করে। অন্যদিকে মীম অন্তঃসত্ত হয়ে পরে মীম। একইভাবে আসামিরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আসামিরা মীমকে জোর করে সন্তান নষ্টের ওষুধ খাওয়ায়। সন্তান নষ্ট হওয়ার পর একর্যায়ে গত ২৬ এপ্রিল আসামিরা মীমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৮