নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরের মণিরামপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে ছেলে ইমরান হোসেনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের ইন্তাজ আলী মোল্লার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন পাশ্ববর্তী দীন আলীর ছেলেদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারা ইন্তাজ আলীর ওই জমিতে লাগানো বিভিন্ন ফসল নষ্ট করে দিতো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই জমিতে লাগানো পাট ও তিল ক্ষেতে দীন আলীর ছেলেরা তাদের ছাগল ঢুকিয়ে দেয়। এসময় ইন্তাজ আলী দেখতে পেয়ে তাদেরকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীন আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, ফারুক ও রবিউল ইসলাম তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি দিয়ে ইন্তাজ আলী মোল্লা, তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ও ছেলে ইমরান হোসেনকে বেধড়ক মারপিট এবং ইট দিয়ে আঘাত করে ইমরানের মাথা থেতলে দেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা রাবেয়া খাতুনের গলার আধাভরি ওজনের সোনার চেইন ছিড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এখানে ইমরানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া, আহত ইন্তাজ আলী মোল্লা ও রাবেয়া খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশের এসআই হাফিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শুভাশিষ রায় বলেন, আহত রোগী ইমরান হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এখানে তার ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া তার এক্স -রে ও সিটিস্কান করার কথা বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন ও অপরাধী চিহিৃত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা দায়েরের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আর কে-০৭