শবে কদর, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকবে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। এ সময় আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
লম্বা ছুটিতে আমদানি-রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সীমান্তের দুপাশের ট্রাকজট আরও বাড়বে। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে রোববার (২৩ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকায় আজ সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। সরকার ঈদের তিন দিন আগে-পরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ঢাকা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনও পণ্য খালাস নেবেন না। সব মিলিয়ে পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দর। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৯ এপ্রিল) শবে কদরের ছুটি, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি, ২১ ও ২২ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি, ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বন্ধ থাকবে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম। ২৪ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুপাশের বন্দরে ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে। বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং এ শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, সকাল থেকে পাঁচ দিন ঈদের ছুটি। ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম ১৯ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনও ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে বন্দরের কর্মতৎপরতা বাড়বে।
বিশেষ প্রতিনিধি