Thursday, April 25, 2024

এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি: কাজী নাবিল

- Advertisement -

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ১৯৭১ ও ৭৫ সালের পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সেটি নিতে পারছে না। তাদের (বিএনপি) মহাসচিব সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেছেন, “পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল।” তারা কোনোক্রমেই এ দেশের ভালো চাইতে পারে না। তারা রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। সেই হায়েনারা আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম, ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।’

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‌‌বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের বহু রথী-মহারথীর ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

দারিদ্র্যের হার কমা প্রসঙ্গে কাজী নাবিল বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের দারিদ্র্যসীমা ছিল ৪০ ভাগের বেশি, এখন তা ২০ ভাগে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২২ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে।’

এমপি কাজী নাবিল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। গ্রামগঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায় সবাইকে বলুন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছেই কেবল বাংলাদেশ নিরাপদ। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারের দায়িত্বে রেখে দেশের উন্নয়ন, প্রগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নেবো।’

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘বর্তমানে দেশে একজন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, একজন প্রধানমন্ত্রী, অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বহু কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামীতেও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ নানা পদে নানা কর্মকর্তা আসবেন। কিন্তু আরেকবার মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সম্ভব নয়। মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার এই বিরল সম্মান, এই বিরল গৌরবের অধিকারী কেবল আপনারাই।’

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণী খান পলাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুযহারুল ইসলাম মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম প্রমুখ আলোচনা করেন।

এর আগে সকাল ১০টায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যশোরের বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন কাজী নাবিল আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি যশোরের স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে যান।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত