যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করেছেন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমির মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। যশোর জেলাকে গড়ে তোলা হবে স্মার্ট জেলা হিসেবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলার গৌরব লাভ করেছিল যশোর, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যশোরকে আবারও স্মার্ট জেলা হিসেবে প্রথম করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ; আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মাসুদ উল আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফিরোজ কবির, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আযম, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সুশান্ত কুমার তরফদার, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ, সাংবাদিক সাজেদ রহমান, এইচ আর তুহিন, শিকদার খালিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার সৈয়দা তামান্না হোরায়রা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম।
সভায় জানানো হয়, স্মার্ট জেলা গঠনে আইডিয়া ব্যাংক গঠন করা হবে। যশোরের নাগরিকরা তাদের পরমার্শ ও আইডিয়া জেলা প্রশাসনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দিতে পারবেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৬