যশোরে হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া ও বাড়ির মালামাল লুটের অভিযোগে ছেলে ও স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার মানিকদিহি গ্রামের বাসিন্দা মামলার বাদি হেলাল উদ্দিনের ছেলে মুজতাজিব জিম, মেয়ে মদিনাতুল ও তালাক দেয়া স্ত্রী কেশবপুর উপজেলার ভরত ভায়না গ্রামের এস এম মহিউদ্দীনের মেয়ে জেসমিন খাতুন। হেলাল উদ্দিনের অভিযোগ, জেসমিন খাতুন তার স্ত্রী ছিলেন।
২০১৫ সালে তিনি তাকে তালাক দেন। তিনি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর মেয়ে মদিনাতুল ও ছেলে মুজতাজিব জিম কখনো তার মায়ের কাছে আবার কখনো তার পিতার বাড়িতে গিয়ে বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে হেলাল উদ্দিন তার মেয়েকে খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার বাবুর সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পর তার মেয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতেন।
অপরদিকে তার ছেলে মুজতাজিব জিম অসৎ সঙ্গে পড়িয়া মাদাকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে মেয়ে, ছেলে ও তালাক দেয়া স্ত্রী হেলাল উদ্দিনের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে তারা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে হেলাল উদ্দিনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন।
তিনি কারাগারে আটক থাকাকালে উল্লিখিতরা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানিকদিহি গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা, এক ভরি সোনার গহনা, একটি মোটরসাইকেল, একটি টেলিভিশন, একটি ফ্রিজ, একটি ট্রাক, একটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপ ও একটি পিকআপ লুট করে নিয়ে যান। কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর হেলাল উদ্দিন এই ঘটনা জানতে পারেন।
এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি। এ কারণে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-২০