কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কপিলমুনিতে আজ ৪‘শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহা বরুণী স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জানাযায়, কোন এক চৈত্র মাসের মধুকৃৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে মহামুনি কপিলদেব কপিলমুনির কপোতাক্ষ ঘাটে সাধনায় মা গঙ্গার সাক্ষাত পেয়ে সিদ্ধি লাভ করেন। এ কারণে তাঁর সিদ্ধিলাভের দিনটিকে স্মরণ রাখতে ও নিজেকে পাপ মুক্ত করতে ধর্ম প্রাণ হিন্দু ভক্তরা কপোতাক্ষ নদের কপিলমুনি নামক স্থানের কালীবাড়ী ঘাটে গঙ্গা স্নান বা বারুণী স্নান উৎসব পালন করে আসছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ১৮ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে স্নান শুরু হবে, আর শেষ হবে আজ রাত ১০ টা ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে স্নান অনুষ্ঠিত হবে। প্রবাদ আছে, মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গার জল এই স্থানে প্রবাহিত হয়। বরুণ জলের দেবতা, বরুণের স্ত্রী বারুণী, বারুণী আর এক নাম গঙ্গা । তাই বারুণী স্নান মানেই গঙ্গা স্নান । ৪‘শ বছরের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় আয়োজক কমিটি এবারও মহা বারুণীর পূণ্য স্নানের অয়োজন করেছেন। প্রতি বছর বৃহৎ আয়োজনে স্নানের মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হলেও এবার সেটা হচ্ছে না। মেলা বসানোর জায়গার অভাব, এবং চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার কারণে অন্য বছরের ন্যায় জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে পক্ষকাল ব্যাপী মেলা বসছে না। তবে জাগ্রত পীর জাফর আউলিয়া মাজার সংলগ্ন মাঠে বসেছে স্নান উপলক্ষ্যে সকল দোকান পাট।
এবিষয়ে কপিলমুনি ইউপি’র নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় মহা বারুণী স্নানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া বৈরী, পর্যাপ্ত জায়গা অভাব আর এইচ এস সি পরীক্ষার করণে এবছর মেলার আয়োজন সম্ভব হয়নি। কপিলমুনি কালী মন্দিরের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র ভদ্র বলেন, কপোতাক্ষ নদীর খনন কাজ চলছে; তাই নদীতে জল না থাকায় কালী ঘাটে পুকুর খনন করে সেখানে পবিত্র স্নানকার্য সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।
আর কে-২৩
