যশোরে জমি থেকে উচ্ছেদ ও হুমকি ধামকির অভিযোগে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই উজ্জল হোসেনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামের মৃত সুলতান মোল্লার ছেলে ফিরোজ আলী মামলাটি করেছেন। মামলার অপর আসামির নাম ফাতিমা খাতুন। সম্পর্কে তিনি ফিরোজ আলীর বোন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
ফিরোজ আলীর অভিযোগ, তিনি টেইলর মাস্টার ও ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গত ৭ মার্চ বিকেলে তিনি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসায় রাজনৈতিক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এএসআই উজ্জল হোসেন তাকে ফোন করেন। তাকে বাড়িতে আসতে বলেন। ফিরোজ আলী তাৎক্ষণিক বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে, তার বাড়ির মেইন গেট ও ঘরের তালা ভাঙ্গা। আসামি ফাতিমা খাতুন ও উজ্জল হোসেনসহ পোশাক পরিহিত পুলিশের একজন সদস্য সেখানে রয়েছেন। তখন ফিরোজ আলী তার বোন ফাতিমা খাতুনের কাছে বাড়িতে কী হয়েছে তা জানতে চান। এই কথা শুনে এএসআই উজ্জল হোসেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর ফিরোজ আলী ঘরে ঢুকে দেখতে পান, তার ঘরে একটি ব্যাগে রাখা দুই লাখ টাকা নেই। ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে উল্লিখিত আসামিরা লুট করে নিয়ে গেছেন বলে ফিরোজ আলীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে এএসআই উজ্জল বলেন, ফাতেমা বিপদে পড়েছে। আটকে রেখেছে তাকে। মারপিট করে তাকে হত্যার চেষ্টা করছে তার ভাই। এমন অভিযোগে ৯৯৯ এ কল করেন ফাতেমা। তার প্রেক্ষিতে উর্দ্বোতন মহলের নির্দেশে ওই বাড়ি একটি টিম যায়। পরে ফাতেমাকে উদ্ধার করা হয়। এরবাইরে কিছুই না। মুলত ভাইবোনের মাঝে জমি কেনাবেচা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। সেই দ্বন্দ্বে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উজ্জল।
রাতদিন সংবাদ