কফির মধ্যে কৌশলে চেতনানাশক মিশিয়ে তা চালককে পান করিয়ে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়ার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। পিবিআই খোয়া যাওয়া ইজিবাইকটিও জব্দ করেছে।
এই ঘটনায় মোট ৪জনের নামে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন চৌগাছার ফুলসারা নিমতলা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আলীম উদ্দিন (২২)।
আটক দুইজন হলো, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিলবাউচ গ্রামের কেরামত খন্দকারের ছেলে তুহিন খন্দকার (৪০) এবং নড়াগাতী থানার ডর বল্লাহাটি গ্রামের মৃত ওহাব আলী মোল্লার ছেলে চুন্নু মোল্লা (৩৫)।
এছাড়া পলাতক আসামিরা হলো, নড়াইল সদর উপজেলার চুনখোলা গ্রামের বর্তমানে ভওয়াখালী জমাদ্দারপাড়ার সরোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লা (৩৮)।
আলীম উদ্দিন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৫ মার্চ বেলা ১২টার দিকে তিনি ইজিবাইক নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসামি তুহিন খন্দকার ও চুন্নু মোল্লা খয়েরতলা যাওয়ার জন্য ৪শ টাকায় ভাড়া করে। খয়েরতলা রেলস্টেশনের কাছে পৌছালে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করে। সে সময় আসামিদ্বয় একটি কফি দিলে সেই কফি পান করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে যান। পরে ইজিবাইক ও মোবাইল ফোনসেট নিয়ে চম্পট দেয়। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে একজন পল্লী চিকিৎককে দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে পিবিআই এর কাছে অভিযোগ দেন।
এরপর পিবিআই তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাত ৯টার দিকে বাঘারপাড়ার ধলগা মোড়ের একটি যাত্রিবাহী বাসের ভেতর থেকে প্রথমে তুহিন খন্দকারকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে রাত ৪টার দিকে চুন্নুকে আটক করে।
আসামি তুহিনের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসেটটি উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পলাতক আসামি মামুনের শ্বশুর বাড়ির সামনে থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। আসামি ফারুক ও মামুন ইজিবাইক বিক্রি করার জন্য তাদের কাছে রাখে। আটক দুই আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
রাতদিন সংবাদ