Wednesday, April 24, 2024

যশোরে গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে মামলা

- Advertisement -

যশোর সদরের মাহিদিয়া গ্রামে ৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় একই পরিবারের চার জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

শহরের নাজির শংকরপুরের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে সীমা খাতুন পলি (৩৫) বুধবার (১এপ্রিল) এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে সদরের মাহিদিয়া গ্রামের একই পরিবারের আঃ লতিফের ছেলে লিটন হোসেন (৪০) মৃত আব্দুর রবের ছেলে আঃ লতিফ (৬০) লতিফের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৫৮) ও মেয়ে লতিফা বেগম (৩৫)।

মামলায় সীমা খাতুন পলি বলেন, আসামি লিটন হোসেন তার স্বামী।আঃ লতিফ শ্বশুর। শিরিনা বেগম শ্বাশুড়ি ও লতিফা বেগম ননদ। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল লিটনের সাথে সীমা খাতুন পলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সুখে শান্তিতে সংসার করছিলো। এরপর ১৬/১৭ মাস পর বাদি সীমা খাতুন পলি গর্ভবর্তী হলে আসামিরা যোগ সাজসে সীমা খাতুনকে না জানিয়ে ওষধ খাইয়ে দিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। এরপর আসামিরা সলাপরামর্শ করে সীমা খাতুনের কাছে ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করতে থাকে। সীমা এ ঘটনা তার বড় ভাইকে জানায়। সীমার বড় ভাই ৬ মাস আগে ২ স্বর্নের বালা একটি ইজিবাইক বিক্রি করে লিটনকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। আসামি লিটন বিভিন্ন কাজে টাকা নষ্ট করে ফেলে আবারো ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এনে দিতে বলে। বড় ভাইয়ের আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে যৌতুক আনতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিটনসহ আসামিরা পুনরায় বাদি সীমা খাতুনের উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে।

সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে আসামি লিটন স্ত্রী বাদি সীমা খাতুনের কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সীমা খাতুন যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে কাঠের চলা দিয়ে সীমা খাতুনকে মারপিট করে জখম করা হয়। অন্যান্য আসামিরা সীমা খাতুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। সীমা খাতুনের ভাই মোবাইলে মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে না নেয়ায় আদালতের নির্দেশে পরে মামলা গ্রহন করে।

রাতদিন সংবাদ/আর কে-২২

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত