নিজস্ব প্রতিবেদক: পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুইকর্মীর চাকরি ফেরত ও হত্যার হুমকি দাতা বাপাউবো’র কর্মচারী খারুজ্জামান ও তার সহযোগীদের আটকের দাবিতে মানবন্ধন, গণঅনশন ও স্বারক লিপি দিয়েছে যশোর বিমান বন্দর সড়কের গোরাপাড়ার হরিজন সম্প্রদায়। একই সাথে ঢাকায় কর্মরত অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলামকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও গণঅনশন শেষে এ স্বারক লিপি দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিতিত ছিলেন, শংকর দাস, ভরত দাস, রণজিৎ দাস, সীমা দাস, উত্তম দাস, সুদাম দাস প্রমুখ।
স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি যশোর শহরের বিমানবন্দর সড়কের গোরাপাড়ার শংকর কুমার দাস ও কমল দাস যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগদান করেন। সেই থেকে তারা বেশ সুনামের সাথে তারা অফিসে কাজ করে আসছিলেন। এরপর তাদের ঢাকা অফিসে বদলী করা হয়। সেখানে বেশ কয়েক মাস চাকরি করার তারা ছুটিতে বাড়ি আসেন। ছুটি শেষে তারা কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে ওই অফিসে কর্মরত সাইফুল ইসলাম ও এক সিবিএ নেতা তাদের যোগদানে বাধা দেন। এক পর্যায়ে তারা কর্মস্থলে যোগদান করতে ব্যর্থ হয়ে যশোর ফিরে আসেন। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। এর মধ্যে সাইফুলের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয় সাইফুল। এরই ধারাবাহিকতায় সাইফুল যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী খায়রুজ্জামান ও আব্দুল হান্নানকে দিয়ে শংকর কুমার ও কমল দাসকে নানা ভাবে হুমকি দেয়ায়। খায়রুজ্জামান ও হান্নান এক সন্ধ্যায় শংকর ও কমল দাসের বাড়িতে যেয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে বলেন। অন্যথায় তাদের খুন-জখম করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসেন। এ ঘাটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় আবারও হুমকি দিচ্ছেন সাইফুলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন।
স্বারক লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শংকর কুমার ও কমল দাস চারিতে যোগদানে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে রিট করে ছিলেন। আদালতের বিচারক তাদের রিট আবেদন গ্রহণ করে রুল জারি ও শংকর ও কমলকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ এবং সাইফুলের চাকরি থেকে ছাটাইসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আজও শংকর ও কমল দাস তাদের চাকরি ফিরে পাননি। অবিলম্বে মানববন্ধন থেকে তাদের চাকরি ফেরত ও হুমকি দাতাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে স্বারক লিপির কপি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সচিব, যশোর পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে এর ন্যায় বিচারক চেয়ে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।