তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামে পক্ষের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, তাঁদের বৈধ জমি জোর করে দখল করছেন আসাদুজ্জামান ও তাঁর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে ৩০ বছর আগে শিল্প ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ একর জমি নিলামে কেনেন তিনি। তখন থেকেই ওই জমিতে তাঁরা বসবাস করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি ও তাঁর ছেলেরা ওই জমিতে কলাগাছ রোপণ করতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ থেকে ১৫ জন চায়নিজ কুড়াল ও শটগান নিয়ে তাঁদের মারধর করেন। এ সময় শহিদুলের বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয়। গ্রামবাসী বিষয়টি দেখে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনায় তিনি জানেন না।
এদিকে দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে শহিদুল ইসলামের আত্মীয় নুরুল ইসলাম ও তাঁর পক্ষের আইনজীবী শাহরিয়ার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার জমিজমা নিয়ে হামিদপুরে গোলযোগের বিষয়টি সত্য। সেখানে আমি ও আমার স্ত্রী ছিলাম। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ওই ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
আইনজীবী শাহরিয়ার বাবু বলেন, তাঁর মক্কেল নুরুল ইসলামের হামিদপুর গ্রামে ১৩ একর জমি আছে। সেখান থেকে প্রায় তিন একর জমি শিল্প ব্যাংকে মটগেজ রেখে ৩০ বছর আগে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক ওই ৩ একর জমি নিলামে স্থানীয় আসাদুজ্জামানের কাছে বিক্রি করে দেয়। এখনো ১০ একর জমির বৈধ মালিক নুরুল ইসলাম। কিন্তু আসাদুজ্জামান ওই তিন একরের বাইরে সব জমি জোর করে দখল করে নিচ্ছেন। সেই দখলে বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা শুনেছেন। তবে উভয় পক্ষের কেউ এখনো কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতদিন সংবাদ