নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগে ৬টি ইভেন্টের মধ্যে দলীয় ক্যাটাগরিতে তিনটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোর সরকারি মাইকেল মধূসুদন মহাবিদ্যালয় (এম এম কলেজ)। এছাড়া আরো একক দুটি ইভেন্টে সর্বমোট ৪টি স্বর্ণপদক পেয়েছে। গত ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিএল কলেজে অনুষ্ঠিত আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবল (পুরুষ), হ্যান্ডবল (নারী) ও বাস্কেটবল (পুরুষ) দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া সুংমিংয়ে তিনটি স্বর্ণপদক ও এ্যাথলিকে ৮টির মধ্যে একটিতে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এদিকে, মঙ্গলবার ইভেন্টে সাফল্য অর্জনকারীরা কলেজে আসলে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
সংশ্রিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে ‘আন্তকলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৩’ শুরু হয়। দেশব্যাপী এ আয়েজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে এই প্রতিযোগিতা উপজেলায় চ্যাম্পিয়নরা খেলে জেলার অধিভুক্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর পর জেলার চ্যাম্পিয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিভাগীয় পর্যায়ে গত গত ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিএল কলেজে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবল (পুরুষ), হ্যান্ডবল (নারী) ও বাস্কেটবল (পুরুষ) দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এম এম কলেজ।
প্রতিযোগিতায় খুলনার বয়রা কলেজ এবং ঝিনাইদহ কেসি কলেজের বিপক্ষে এম এম কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া একক প্রতিযোগিতায় সুংমিংয়ে তিনটি স্বর্ণপদক ও এ্যাথলিকে ৮টির মধ্যে একটিতে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বিজয়ী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজের শারিরিক শিক্ষক গাজী মো. সালাউদ্দিনের সার্বিক তত্বাবধায়নে সরকারি এম এম কলেজ এই গৌরবময় অর্জন করেছেন। এদিকে, ইভেন্টে সাফল্য অর্জনকারীরা কলেজে আসলে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তারসহ বিভিন্ন ভিভাগের শিক্ষকরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন, শারিরিক শিক্ষক গাজী মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ। সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের কলেজে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়াঅঙ্গনেও ভালো করছে এটার কৃতিত্ব দাবিবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আমরা টেষ্টা করছি এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় তারা যেন আলোকিত ও পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে। শুধু পড়াশোনা থেকেই শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ হতে পারবে না। আদর্শ মানুষ গড়ে উঠতে দরকার জ্ঞানচর্যার পাশাপাশি সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার। এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ^াস করি বলেই এটা নিয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।