যশোর মাদ্রাসা পড়–য়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহযোগীতার অভিযোগে আদালতের আদেশে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রেকর্ড হওয়া এ মামলার বাদী ওই ছাত্রীর পিতা।
আসামিরা হলো, যশোর সদরের ভগবতী তলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে কাশেম সরদার, বসুন্দিয়া আফরা ঘাট পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ইসমাইল, নড়াইল সদরের বাহিরগ্রামের মৃত নওয়াব আলী খন্দকারের ছেলে হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও কাজদিয়া গ্রামের ইসলামইল হোসেন ও তার ছেলে হাবিবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে আসামি হাবিবুর রহমান বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখাতো ওই ছাত্রীকে। বিয়টি জানার পর ছাত্রীর পরিবার হাবিবুর রহমানের পরিবারকে জানিয়ে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে।
২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসামি হাবিবুর ও তার পিতা ইসমাইল ওই ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসলে পরিবারের লোকজন কোথায় ছিল তার কাছে জানতে চাই। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী শিকার করে ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে হাবিবুরের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং আসামি রবিউল ইসলামকে দিয়ে বিয়ে পড়ায়। এরপর থেকে ওই ছাত্রী হাবিবুরের কথামত বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে চলে যেত। হাবিবুর অপ্রাপ্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে ও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ইসমাইলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিরা একে অপরের সহযোগীতায় অপ্রাপ্ত ছাত্রীকে বিয়ে ও ধর্ষণের সহযোগীতার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন ওই ছাত্রীর পিতা। আদালতের বিচারক অভিযোগ গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছিলেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আদালতের আদেশে গতকাল অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে থানায়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-২০
