![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/3665824317-1713665889497.gif)
ঘাট শ্রামিক থেকে মন্ত্রণালয়ের পিয়ন (আউট সোসিং) হওয়া সেই শরিফুল ইসলামসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারপিট ও ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও কর কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় তার উপর এ অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে মামলাটি করেছেন। মঙ্গলবার মণিরামপুরের নেহালপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর মোল্যার ছেলে আজহার আলী মোল্যা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু।
আসামিরা হলেন, মণিরামপুরের নেহালপুর গ্রামের সাহেব আলী মোল্যার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পিয়ন (আউট সোসিং) শরিফুল ইসলাম, দুর্গাপুর গ্রামের লুৎফর রহমান ও তার ছেলে হাসান, খানপুর সানতলা গ্রামের শফি সম্রাট এবং সদরের সিঙ্গে কুয়াদা গ্রামের লুৎফর রহমান রাজুর ছেলে রিয়াদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম নওয়াপাড়া ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পিয়ন পদে (আউট সোসিং) চাকরি পান। এরমধ্যে তিনি দুর্নীতির মাধ্যেমে কয়েক কোটি টাকা আয় করেন। যার মধ্যে তিনি নিজ এলাকায় এক কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ বিষয়টি জানার পর মামলার বাদী আজহার আলী মোল্যা গত ১৯ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও কর কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। যশোরের বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর শরিফুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে আজহার আলী মোল্যার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গত ২১ জানুয়ারি আজহার আলীকে এসিল্যান্ড অফিসের সামনে অপহরণ করে একটি জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে যেয়ে শরিফুল ইসলামকে দেখতে পান। এসময় তিনি খুন জখমের হুমকি দেন। আজহার আলী তখন বেরিয়ে আসলে চাইলে আসামিরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে তিনটি ফাঁকা স্টাম্প দিয়ে স্বাক্ষর করে নেন।
রাতদিন সংবাদ
![](https://ratdinnews.net/wp-content/uploads/2024/04/713658224971-1713658341531.gif)