যশোরে হত্যা, অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানের পৃথক তিন মামলায় তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আসামিরা হচ্ছে, অভয়নগরের দামুখালি গ্রামের মৃত শৈলেন মন্ডলের ছেলে শ্যামল মন্ডল, যশোর উপশহরের ছমির উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসাইন প্রিন্স ও বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মেহেদী হাসান।
বুধবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল, মঞ্জুরুল ইসলাম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, অভয়নগরের দামুখালি গ্রামের সুব্রত মন্ডলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই সুব্রত মন্ডল মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অমৃত মন্ডল বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মিলন কুমার মন্ডল হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে গত ১৩ জানুয়ারি শ্যামল মন্ডলকে আটক ও আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বুধবার আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১১ জানুয়ারি ডিবি উপশহর বি ব্লক তিন রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে প্রিন্সকে আটক করা হয়। ওইসময় তার মোবাইল ফোনে অস্ত্র হাতে ছবি পাওয়া যাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই সোলায়মান আক্কাস ১৩ জানুয়ারি আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বুধবার আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পাঁচভুলট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রহমতপুর থেকে ৮২ পিস সোনারবার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আটক মেহেদী হাসানকে আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সোহেল রানা গত ৮ জানুয়ারি আটক মেহেদী হাসানের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বুধবার আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-২৪
