যশোর শহরের এইচএমএম রোডের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার কালী মন্দিরের সভাপতি সুজিত কাপুড়িয়া বাবুল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ ও কোষাধ্যাক্ষ পলাশ মোদক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শহরের এইচএম এম রোডের সিদ্ধেশ্বরীর কালী মন্দির একটি পরিচালনা পরিষদ দ্বারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। সদস্যদের চাঁদা, দোকান ভাড়া, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানে এর পরিচালনা ব্যায় নির্বাহ করা হয়। এছাড়া আদায়কৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়। হিসাবটি সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যাক্ষ পরিচালনা করেন। সভাপতি বিভিন্ন সময় দেশ ও জেলার বাইরে অবস্থান করেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা করে উন্নয়ন কাজ করার কথা থাকলেও আসামিরা তা না করেনি। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আসামিরা ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন ও মন্দিরের ভাড়াটিয়া বিধান রায়ের কাছ থেকে অনুদানের ১লাখ এবং সাবমারসিবল পাম্প বিক্রি করে ১২হাজার টাকাসহ মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। ওই সময় তাদের কাছে এ টাকা ব্যায়ে হিসাব চাইলে তারা মনগড়া বিল-ভাউচার তৈরী করে জমা দেন। ২০২১ সালের ১৯ মার্চ সভা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আসমিরা ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে বলে ২০২২ সালের ১২ জুন পরিচালনা পরিষদরে কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ৩০ আগস্ট সভা আহবান করে ৩০ আগস্ট আসামিদের কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের জবাব না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধন্ত হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিরা এ সংবাদ পেয়ে মনিন্দে এসে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এরপর আসামিরা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর আসামিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তার দিতে অস্বীকার করেন। আত্মসাতকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১০