যশোরে সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মিরাজ হোসেন নামে এক যুবককে আটকের পর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে তাকে আটকের পর এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম ১০ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আটক মিরাজ হোসেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোলা দিঘলিয়া গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে।
এই মামলার পলাতক অপর আসামি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাংগাসি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শাহ আলম।
ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নওয়ানি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে।
বাদী মনিরুল ইসলাম মামলায় বলেছেন, আটক আসামি মিরাজ হোসেন বিশেষ বাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি করতেন। সে কারণে আগে থেকেই তার সাথে মনিরুল ইসলামের পরিচয় ছিল। মনিরুল ইসলামকে সৈনিক পদে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবে বলে জানায় মিরাজ হোসেন। আর ওই চাকরি দিতে তাকে দিতে হবে আট লাখ টাকা। কিন্তু চাকরি হওয়ার পরে টাকা দিতে হবে বলে মৌখিকভাবে কথা হয়। ২০২২ সালের ২৬ মার্চ বিকেল চারটার দিকে যশোর শহরের পালাবাড়ি মোড় থেকে একশ’ টাকা মূল্যের দুইটি সাদা স্ট্যাম্প এবং তার নামীয় ইসলামী ব্যাংক হিসাবের দুইটি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা দেয়া হয়। গত ৮ জানুযারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামি শাহ আলম মোবাইল ফোনে মনিরুল ইসলামকে জানায় ৯ জানুয়ারি যশোরে সৈনিক পদে লোক নিবে সেই সংবাদ শুনে মনিরুল ইসলাম সেখানে চলে আসেন। ৯ জানুয়ারি মাঠে দাড়িয়ে প্রাথমিক, চুড়ান্ত ও শারীরিক পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চাকরির জন্য লাইনে দাড়িয়ে থাকাবস্থায় বারংবার আসামি মিরাজ হোসেন তার মোবাইলে রিং দেয়ায় এক কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। এরপর তার মোবাইল ফোনটি ওই অফিসার নিয়ে নেন। এরপরও ফোন দেয়ায় অফিসার কৌশলে মিরাজকে ডেকে এনে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুর রহমান।
রাতদিন সংবাদ