যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন নিয়ে আদালতে জবাব দেয়ার শেষ দিন ছিলো রোববার। তবে এদিন এ বিষয়ে জবাব না দিয়ে সময় প্রার্থনা করেছে চেম্বার প্রশাসন । রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রফিকুল হাসানের পক্ষে জিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল সময় প্রার্থনার আবেদন জানান। এসময় বিচারক সুজাতা আমিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া একই দিন এ মামলায় ব্যবসায়ী ঐক্য প্যানেলের ১৮ প্রার্থী এ মামলায় স্বেচ্ছায় বিবাদী শ্রেনী ভুক্ত হয়েছেন । তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বিবাদী শ্রেনীভুক্ত হতে আবেদন জানালে একই আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খুব শিঘ্রই এ বিষয়ে অভিযোগের জবাব ও মামলা খারিজের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন জিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ আটবছর পর গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারী জাল আয়কর সনদ দিয়ে ভোটার করানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মেসার্স পারভেজ ট্রেডার্সের মালিক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে যশোরের আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর আদালত এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সাথে চেম্বার প্রশাসনকে এ বিষয়ে এক কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন। এদিন চেম্বার প্রশাসন সময় প্রার্থনা করে। একই দিন এ মামলার ১৮জন বিবাদী হিসেবে শ্রেনী ভুক্ত হন। তাদেরমধ্যে ১২জন সাধারণ শ্রেনীর প্রার্থী ও বাকি ৬জন সহযোগি শ্রেনীর প্রার্থী। সাধারণ শ্রেনীর হলেন, মিজানুর রহমান খান, শেখ আতিকুর বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, আব্দুল হামিদ চাকলাদার ঈদুল, এহসানুর রহমান লিটু, কাশেদুজ্জামান সেলিম, সাকির আলী, শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু, সায়েম দিদ্দিক, মকছেদ আলী, এজাজ উদ্দিন টিপু ও খাইরুল কবীর।
সহযোগি ছয় প্রার্থীরা হলেন, সৈয়দ শাহজাহান আলী খোকন, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান, আজিজুর রহমান খান, ইদ্রিস আলী ও রিজভী জাহাঙ্গির কিবরিয়া।
রাতদিন সংবাদ