Tuesday, April 23, 2024

চৌগাছায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে মাটি কাটার মহোৎসব

- Advertisement -

যশোরের চৌগাছায় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার উৎসব। এ সব মাটি যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা ও ফসলি জমিতে বিভিন্ন স্থাপনার কাজে। উপজেলা প্রশাষন থেকে অবৈধ ইটভাটা ও মাটি কাটার বিরোধে একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করে ভেকু জব্দ ও জরিমানা করার পরও প্রশাষনকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহাৎসব।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকাসহ সুখপুকুরিয়া, সরুপদাহ, ফুলসারা, ফতেপুর, নারায়নপুর, সদর ইউনিয়নে এসব মাটি বিক্রি কার্যক্রম চলছে। উপজেলার নিয়ামতপুরের দুলাল হোসেন, সুখপুকুরিয়া গ্রামের হাবিব হোসেন, রামভাদ্রপুর গ্রামের ফিরোজ হোসেন, খড়িঞ্চা গ্রামের বাবু, পুড়াপাড়ার খালপাড়ের জিয়া, নগরবর্ণি গ্রামের খোকন, হোসেনহাটি গ্রামের ইরফান, দূর্গাপুর গ্রামের রাজ্জাক, সৈয়দপুরের শরিফুলসহ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। অসহায় কৃষকদের আর্থিক সংকটের সুযোগ নিচ্ছে মাটি খেকো সিন্ডিকেট ও ইটভাটার মালিকরা। আর্থিক সহযোগীতাসহ মাছ চাষের প্রলোভন দেখিয়ে ও ফসলের থেকে মাছ চাষে অধিক লাভের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে ফসলি জমি। বিভিন্ন ফসলি জমি ২০ফুট গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়, এতে পাশের ফসলী জমি ধষে পড়ছে। একাধিক চাষের জমির মাঝে জলাশয় তৈরী হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুঃচিন্তার ছায়া। এছাড়াও ভাটা ট্রাক ও হাইড্রলিক ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা ফসলের মধ্যে ধুলার প্রলেব পড়ে, যে কারনে রাস্তার ধারের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসকল বেপরোয়া ভাবে ট্রাক চলাচলে রাস্তায় ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। রাস্তায় শত শত বার এসকল বাহন চলার কারণে পাকাঁ রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়তে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলেন, শুধু ফসলি জমি না নদীর পাড়ে মাটি, সরকারী খাঁস জমিসহ সরকারী বিলের মাটিও কেটে নিচ্ছে এসকল সিন্ডিকেট।
এলাকাবাসীসহ একাধিক কৃষক জানায়, এই সব মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষমতাশালী। তাদের বিরোধে প্রতিবাদ করলে তার জীবননাশসহ মামলা হামলার হুমকি দেয়। আমাদের ফসলী জমির এতো ক্ষতি করার পরও আমরা কিছুই বলতে পারি না। আগের মতো ফসল ফলাতে পারবো কিনা সেটাও জানি না। এলাকার নায়েব অফিসের লোক ও বিভিন্ন উপর মহলের লোকজন আনাগোনা করে ওদের কাছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস জানান, মাটির উপরের স্তর বেশ উর্বর, যা এই সিন্ডিকেটের ফলে ফসলী জমি বেশ হুমকীর মুখে। মাটি কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন, অন্যথায় মাটি কাটা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, আমি এসকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। একাধিক মাটির ব্যসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে পদক্ষেপ নিলেও পরর্বতীতে প্রশাষনের নজর ফাকি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাষনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত