যশোরের দড়াটানার নিউ ভৈরব হোটেলে এক কাষ্টমারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে । এসময় হোটেলের ম্যানেজার আতাউর রহমান, কারিগর মেহেদী হাসান ও মেসিয়ার রহমতকে মারপিট করেছে তারা। হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছেন ম্যানেজার আতাউর রহমান। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ম্যাসিয়ার রহমত জানান, রাত আটটায় এক যুবক এসে তাদের কাছে গ্রিলের অর্ডার দেয়। এ সময় ওই কাষ্টমার মুরগীর বুকের মাংশ চান। কিন্তু মেসিয়ার বুকের মাংশের পরিবর্তে রানের মাংশ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ওই কাষ্টমার। পরিবর্তিতে তর্কাতর্কি করে বের হয়ে যায়। এর কিছু সময় পর ওই কাষ্টমার ১০/১২ জন যুবক এনে হোটেলে হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হন ম্যানেজার আতাউর। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে, ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা আরও কয়েকজন কাষ্টমার জানান, ওই কাষ্টমার বুকের মাংশ না থাকলে খাবার দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু তার পরেও রানের মাংশ দিয়ে খাবার আনে মেসিয়ার। শুরুতে মেসিয়ার ওই যুবকের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। বিষয়টি তিনি ম্যানেজারকে জানালে তিনিও একই ধরণের ব্যবহার করেন। পরে ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়েই চলে যায়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই খালিদ বিন হাবীব বলেন, মুলত খাবার দেয়া নেয়া নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সিসি ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে নিউ ভৈরব হোটেলের অধিকাংশ মেসিয়ার ও কর্মচারীরা কাষ্টমারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। অনেক সময় অকথ্য ভাষায়ও কথা বলেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রায় গোলোযোগ বাধে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে আসা রুগি ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে মনগড়া টাকা আদায় করে ওই হোটেলের লোকজন। কিন্তু রোগী ও স্বজনেরা মুখ খোলার সাহস পায়না। এছাড়া কেউ কেউ বলেন, ম্যানেজার আতাউর রহমানের ব্যবহার আরও খারাপ। কাষ্টমারদের কাছথেকে বিল নেয়ার সময় তিনি অসৌজন্যমুলক আচরণ করে থাকেন যা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। বয়স্ক হওয়ায় অনেকই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু মনে ক্ষোভ নিয়েই হোটেল ত্যাগ করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি