Friday, March 29, 2024

ছেলে মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়, বন্ধুরা কেটে দিলেন মায়ের ধান

- Advertisement -

গত পহেলা আগস্ট মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান জহিরুল ইসলাম বাবু (২৫) নামের এক যুবক। যুবক জহিরুলই ছিলেন তার মা জোছনা বেগমের উপর্জনক্ষম একমাত্র সন্তান। আমান মৌসুমে গোলায় ধান ওঠা নিয়েও শঙ্কা পঞ্চাশোর্ধ জোছনা বেগমের। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে বৃদ্ধা জোছনার মুখে হাসিয়ে ফুটিয়েছেন তার প্রয়াত ছেলের বন্ধুরা। জোছনা বেগমের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পুটিয়ালিচর গ্রামে।

- Advertisement -

জান যায়, ছেলের মৃত্যুর পর প্রায় সময়ই বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিতেন বন্ধুরা। এমনকি আমান মৌসুমের ধানও লাগিয়ে দিয়েছে বন্ধুরা। আর এখন সেই ধান কেটে দিচ্ছেন তার বন্ধুরা। জহিরুল ‘দাপুনিয়া-ঘাগড়া হেল্পলাইন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সংসারের খরচ চালাতেন তিনি।

ওই সংগঠনের পরিচালক মো. রাকিব বলেন, ‘জহিরুল মারা যাওয়ার পর তার মা একা থাকেন। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। যে কারণে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বন্ধুরা জোছনা বেগমের খোঁজখবর রাখেন। জহিরুলের মায়ের নিজের জমি নেই। বাড়ির পাশে লিজ নেওয়া চার কাঠা জমিতে তারা বন্ধুরা মিলে ধান লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এখন সেই ধান কেটে দিচ্ছেন।

রাকিব আরও জানান, গ্রামের খালে সেতু ছিল না, জহিরুল উদ্যোগী হয়ে প্রয় ৪০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো করার উদ্যোগ নিয়েছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সে রক্তও দিতো। গত বন্যায় সিলেটের সুনামগঞ্জে ত্রাণও নিয়ে যায় জহিরুল।

জোছনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে চলে যাবার পর থেকেই আমার জীবনে কোনো সুখ, আহ্লাদ নেই। বাড়িতে মেয়েও থাকে না। ছেলের বন্ধুরা আমার বাড়ি এলে খুব ভালো লাগে। সময়ে অসময়ে তারা এসে আমার ভাল মন্দ জানতে চায়। এবার ধান কেটেও উপকার করে দিচ্ছে। আল্লাহ ওদের ভাল রাখুক।’

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত