সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নড়াইল জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রচার কার্যক্রমের আওতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার মো: ইব্রাহিম-আল-মামুন৷
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. সায়েদুর রহমান, নড়াইল সদর থানা অফিসার-ইন-চার্জ মো. মাহমুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল প্রেসক্লাব সভাপতি জনাব মো. এনামুল কবির টুকু, গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শংকর কুমার পাঠক এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল ৷
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন গ্রুপ কমান্ডার, বিএলএফ ও বাংলাদেশ আ. লীগ নড়াইল জেলা শাখার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইফুর রহমান হিলু ৷
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা সবিস্তারে তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবসময় হৃদয়ে ধারণ করে দেশ গড়ার জন্য উপস্থিত শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের বুনিয়াদ৷ তাদের কাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে উন্নত বাংলাদেশ ৷ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে৷ আর এ জন্য পড়া ও চিন্তার বিকল্প নেই ৷ সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়়িয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য বক্তাবৃন্দ আহ্বান জানান ৷
আলোচকবৃন্দ আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিণত হবে অনুসরণীয় রাষ্ট্রে ৷ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুষ্ট হয়ে বিশ্বের মাঝে শক্তিশালী রাষ্ট্রে রূপ লাভ করবে ৷
এছাড়া বক্তারা করোনাকালীন মাস্ক পরিধান করে বিদ্যালয়ে আগমন, আসন্ন পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় ৷
অনুষ্ঠান শেষে কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত বই পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা৷ অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷
