আঃ সবুর আল-আমিন, কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি :পাইকগাছায় ৭৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণধীন ভবন থেকে রাতের আধারে চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধার হলেও চোরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যা নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন যাদের এসব মালামাল রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তারাই এ চুরির সাথে জড়িত। নিজেদের গাঁ বাচাতে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ওই কাজের সাব ঠিকাদার হিরক মোল্লা জানান, নির্মাণধীন ভবন থেকে সম্প্রতি সিমেন্ট, ডিল মেশিন, পাথরের খোয়া, বাঁশ ও তকতাসহ বিভিন্ন উপকরণ মিলে তিন লক্ষ টাকার মামামাল চুরি হয়। এরপর ১৮ শুক্রবার কপিলমুনি ইউপি’র গ্রাম্য আদালতের সাবেক সহকারী শুকলা মিশ্রর বাড়ি থেকে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাওছার আলী জোয়ার্দারের উপস্থিতে ৯ ব্যাগ সিমেন্ট, ২০ ফুট খোয়া ও কিছু বাঁশ ও তকতা উদ্ধার করা হয়। বাকি মালামাল এখনো উদ্ধার হয়নি। অজ্ঞাত কারনে এ বিষয়ে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি ওই মালামাল কিভাবে এলো সেবিষয়েও কোনো কৈয়ফত চাওয়া হয়নি।
কেন এ বিষয়ে কোনো মামলা করলেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে ঠিকাদার জিরক বলেন, চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাওছার আলী জোয়ার্দারের মুঠোফোন একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্র এ কাজ করছে । যার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় একটি মহল। এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় থেকে চক্রটি এ ধরনের কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।