সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের খড়ড়িয়া গ্রামের পোল বাজার খালটির দুই পাড়ের খাস জমি ও খালটির বিশাল এলাকা জনপ্রতিনিধি এবং প্রভাবশালীদের দখলে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের দোকান ও বাড়ি। সে কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। বিলের পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে খড়ড়িয়া বিলে জলাবদ্ধতা। কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেননা। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকার কৃষকরা খাল দখলকারিদের স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
কালিয়া উপজেলা (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, পেড়লী ইউনিয়নের খড়ড়িয়া মৌজার ৩৮৩০ এবং ৪৫৫৫ দাগের জমি খাস খতিয়ানভূক্ত। জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশ পত্র পাওয়া যায়। নির্দেশ পত্র পাওয়ার পর ৩ অক্টোবর কালিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দখল উচ্ছেদের প্রাথমিক পর্যায়ে জরিপ পরিচালনা করে ১৪টি পাকা এবং আধাপাকা স্থাপনা চিহ্নিত করেন। পরে আত্মপক্ষ সমর্থনে স্থাপনার মালিকদের নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু গত এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের পোল বাজারের খালের দুই পাড়ের বেশিরভাগ জমি খাস খতিয়ানভূক্ত। খালের দুই পাড়ে শতাধিক দোকান ঘর গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে যে স্থাপনাগুলো সরকরি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের নোটিশও জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ভূক্তভোগী কৃষকরা জানান, খালটি এখন উপকারের পরিবর্তে আমাদের মরণ ফাদে পরিণত হয়েছে। তারা বলেন, এলাকার জন প্রতিনিধিসহ প্রভাবশালীরা খাল দখল করে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট তৈরি করায় খাল ভরাট গেছে। বর্ষাকালে বিলে পানি প্রবেশ করতে পরেলেও শুকনা মওসূমে বিলের পানি নদীতে নামতে পারে না। এর ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আমরা ফসলও উৎপাদন করতে পারি না। শুনেছি যারা খাল দখল করে দোকানপাট, বাড়ি-ঘর করেছে ওসব দালানকোঠা ভেঙ্গে দেবে।