Friday, March 29, 2024

আজ থেকে তোরণ অপসারণ

- Advertisement -

আগামী ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে সামনে রেখে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে যশোর। নিরাপত্তা ইস্যুতে জিরো টলারেন্সে থাকবে প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য আসা যাওয়ার সড়কে কোনো তোরণ থাকবে না। আজ থেকে ওইসব সড়কে স্থাপিত তোরণ অপসারণ করবে পৌরসভা। এর পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ, জনসভাস্থলে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে পৌরসভার পক্ষ থেকে।

- Advertisement -

রোববার সকাল দশটায় যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। গতমাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ার হোসেন।

সভায় বক্তৃতা করেন সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, বিজিবির সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর সেলিমুদ্দৌজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম।

পরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার তৌহিদুল ইসলাম, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি যশোরের সভাপতি মিজানুর রহমান, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক ও প্রভাষক মিজানুর রহমান।

সভায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশ অব্যাহত ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখার সাথে সাথে কর্মসূচির সার্বিক নিরাপত্তা সবার আগে। তাই নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো আপোষ করা হবে না। একইসাথে লাখো মানুষের সমাগমে যাতে যানজট বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সর্বক্ষণিক নজর রাখবে জেলা পুলিশ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যশোর থেকে জনসভা শুরু করছেন। সেই কারণে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা করার চেষ্টা চলছে। একইসাথে জননেত্রীর নিরাপত্তায় সম্ভাব্য আসা যাওয়ার সড়কের তোরণ তিনি নিজে উপস্থিত থেকে অপসারণে সহযোগিতা করবেন।

পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, যশোর শহরের শোভা বর্ধনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ফুটপাতসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সড়ক বাতি সংস্কারসহ নানা কার্যক্রম শুরু করেছে পৌরসভা। জনসভা সফল করতে অধিকাংশ কাজ পৌরসভা করবে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ থেকে দড়াটানা থেকে বিমানবন্দর সড়কে স্থাপিত সকল তোরণ অপসারণে অভিযান পরিচালনা করবে পৌরসভার কর্মীরা।

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমন সফল করতে সকল কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে প্রস্তুতি সভা চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সম্মানিত অতিথি। যশোরের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় জমি রেজিস্ট্রির সময় সমিতির নামে চাঁদা আদায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন ও চিকিৎসা, সাপে কাটা রোগীদের উপজেলা পর্যায়ে জানুয়ারি থেকে চিকিৎসা প্রদান, মানবপাচার ও চোরাচালান এবং নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়।

অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রোববার বিভিন্ন সময় জনসভাস্থল পরিদর্শন ও কাজের তদারকি করেন তারা। জনসভা স্থলের গ্যালারি করা হচ্ছে জাতীয় পতাকার রঙে। মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে নৌকার আদলে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৮টি উপকমিটি। রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রচার প্রচারণা ও দপ্তর উপ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রচার ও প্রচারণা উপকমিটির আহ্বায়ক মুন্সি মহিউদ্দিন, দপ্তর উপকমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ খায়রুজ্জামান রয়েল, মারুফ হোসেন খোকন, মুজিব উদ দ্দৌল্লাহ সরদার কনক, অ্যাডভোকেট সেতারা বেগম, অহেদুল ইসলাম তরফদার, লুৎফুল কবির বিজু, সামির ইসলাম পিয়াস, প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন।

অপরদিকে, বিকেলে যশোর স্টেডিয়ামের সভাস্থল পরিদর্শন করেন সাজসজ্জা মঞ্চ উপকমিটির নেতৃবৃন্দ। পরিদর্শন শেষে আহ্বায়ক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘ পাঁচবছর আগে ঈদগাহে অনুষ্ঠিত জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যশোর স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভায় ভাষণ দিবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সহসভাপতি হায়দার গনি খান পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম ও মীর জহুরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী, প্রচার সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মুজিব উদ দ্দৌল্লা সরদার কনক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, উপদপ্তর সম্পাদক অহেদুল ইসলাম তরফদার, উপপ্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবির বিজু, সদস্য কামাল হোসেন ও সামির ইসলাম পিয়াস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু প্রমুখ।

রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৪

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত