যশোরে অবৈধভাবে বন্দুকের গুলি রাখার দায়ে সোহরাব হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন সোহরাবের স্ত্রী ফিরোজা বেগম। সোমবার এক রায়ে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাকো মোহনপুর গ্রামের মৃত এরাদশ মণ্ডলের ছেলে। তিনি যশোর শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়ার মোতাহার আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই নড়াইল সদর থানার একটি ডাকাতি মামলার আসামি সোহরাব হোসেনকে আটকের জন্য যশোর পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালায় নড়াইল ডিবি পুলিশ। ওইসময় শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়ার মোতাহার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহরাব হোসেন ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে আটক করা হয়। আটক দু’জনের স্বীকারোক্তিতে তাদের ঘর থেকে ১৩ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নড়াইল ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আটক দু’জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় স্বামী-স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে আলাদা চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কবিরুল ইসলাম।
এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি সোহরাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অস্ত্র আইনের ১৯ (চ) ধারায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৬