স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে শার্শায় মনিরুজ্জামান নামের এক ভ্যান চালককে হত্যার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার ১০দিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী তার প্রেমিকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ছেলে আলী হোসেন রোববার এই মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এই ব্যাপারে আর কোন মামলা হয়েছে কিনা আগামি সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, একই উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা খাতুন, ফিরোজার প্রেমিক একই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সেলিম ও সেলিমের মা রওশনারা বেগম।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার পিতা মনিরুজ্জামান ভ্যান চালক ছিলেন। সংসারে অভাব অনাটন ও বাড়িতে অন্যকেউ না থাকার সুযোগে আসামি সেলিম তাদের বাড়িতে এসে ফিরোজা বেগমের সাথে সুসম্পর্ক এবং প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী তাদের অনৈতিক কর্মকা- দেখে ফেলায় একাধিকবার সালিশ বিচার হয়। সালিশ বিচারে সেলিম এবং ফিরোজা বেগম আর এমন কাজ করবেননা বলে অঙ্গীকার করে। ঘটনার ১৭দিন আগে সেলিমের সাথে ফিরোজা বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যায়। বিভিন্নস্থানে খোঁজখবর নিয়ে ফিরোজাকে আবারো ফিরিয়ে আনেন মনিরুজ্জামান।
ফিরোজাকে ফিরিয়ে আনার পরই আবার সেলিমের সাথে মনিরুজ্জামানের বাকবিতন্ডা হয়। ওই বাকবিতন্ডার কথা শুনে ফিরোজা বেগমও সেলিমের পক্ষ নিয়ে স্বামী মনিরুজ্জামানের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। ফলে সেলিম ও ফিরোজা এবং সেলিমের মা রওশনারা বেগম একত্রে মনিরুজ্জামানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে নারায়নপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বেতনা নদীর পাড় দিয়ে আসার সময় একটি আমবাগানের কাছ থেকে মনিরুজ্জামানকে আসামিরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কাছে থাকা গামছা দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তার কাছে থাকা গামছা দিয়ে গলায় পেচিয়ে আম গাছের একটি ডালের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে স্থানীয় এক পথচারি দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
এরপরে ঘটনাস্থলে এসে মনিরুজ্জামানের কাছে থাকা বেশ কয়েক প্রকারের তরকারি ও রক্ত মাখা কাপড় পাওয়া যায়। বাদীর পরে এসব বিষয় জানতে পেরে আদালতে মামলা করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৪