Friday, March 29, 2024

১৫ জানুয়ারির মধ্যে অনুমোদন না হলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয়

নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে ইসি। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন ওই প্রকল্প প্রস্তাবের ব্যয় যৌক্তিক করার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, পরিকল্পনা কমিশন কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা নির্বাচন কমিশন এখনো জানে না। এগুলো দেখার পর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কত টাকা দিতে পারবে, তার ওপর এটি নির্ভর করে।

মো. আলমগীর বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর কার্যাদেশ দেওয়া, এলসি খোলা, যন্ত্রাংশ দেশে আনা, মান পরীক্ষা করা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ, ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা, মাঠে পাঠানো—এ কাজগুলো করতে হবে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন না হলে নতুন ইভিএম জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইভিএমের যে ব্যয়, তার অধিকাংশই বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে। যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে, সে হিসাবে পরিকল্পনা কমিশন কতটুকু পারবে, সেসব দেখে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে কী করা উচিত।

প্রকল্প প্রস্তাবে ইভিএম সংরক্ষণাগার, পরিবহনের জন্য গাড়ি, প্রশিক্ষণ বিভিন্ন খাত আছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশন কোন খাতে খরচ কমাতে বলেছে, তা এখনো তাঁরা জানেন না। তবে যেটাই হোক, যাতে অর্থ ও সম্পদের অপচয় না হয়, সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এত বড় প্রকল্প প্রস্তাব করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল না। তাঁরা প্রস্তাব পাঠানোর পর বুঝতে পেরেছেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে, সেটা বলতে পারবে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইসি নিজেদের চাহিদার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় কতটুকু দিতে পারবে, সেটা তাদের ব্যাপার।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-১৯

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত